সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেন না। আমার জীবনের বড় দুটি দুঃখের একটি হলো, আমি ছবি আঁকতে পারি না। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো ছবি আঁকতে না—পারার সাধ আমি মিটিয়েছি চিত্রকলা নিয়ে পড়ালেখা করে। খুব অল্প বয়সেই আমি ভ্যান গগের প্রেমে পড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে, একদিন ভ্যান গগের উপর একটা বই নীলক্ষেতে পেয়ে যাই। তখন কলেজে পড়ি, তার চেয়ে বেশি পড়ি নীলক্ষেতে।
সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেন না। আমার জীবনের বড় দুটি দুঃখের একটি হলো, আমি ছবি আঁকতে পারি না। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো ছবি আঁকতে না—পারার সাধ আমি মিটিয়েছি চিত্রকলা নিয়ে পড়ালেখা করে। খুব অল্প বয়সেই আমি ভ্যান গগের প্রেমে পড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে, একদিন ভ্যান গগের উপর একটা বই নীলক্ষেতে পেয়ে যাই। তখন কলেজে পড়ি, তার চেয়ে বেশি পড়ি নীলক্ষেতে। বইটা হাতে নিয়ে রিকশায় ফিরছি আর চরম উত্তেজনায় বারবার পাতা উল্টাচ্ছি। পড়তে পারছি না, কারণ তখন রাত, কিন্তু ছবিগুলো দেখছি। আর অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, চলতি রিকশার সাথে আলো বদলায়, আর আলোর সাথে একেকটা ছবির রং রূপ বদলে যায়। হায়, ঈশ্বর আজ পর্যন্ত ভ্যান গগের আঁকা একটি মূল ছবিও সরাসরি দেখার সুযোগ পাইনি, কিন্তু প্রিন্টেই যা দেখেছি তার মুগ্ধতা থেকেই তো আজও বেরুতে পারি না। যাহোক, সেই আলো—অঁাধারিতে দেখা বই পরদিন সকালেই পড়তে বসি। কলেজ থাকে কলেজের জায়গায়, আর আমি আর ভ্যান গগ থাকি বোটানিক্যাল গার্ডেনে বসে। সেই যে বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ভ্যান গগের সঙ্গে প্রেম শুরু আমি জানি আমৃত্যু তা রয়ে যাবে।
তবু কিছু ঋণ তো রয়েই যায়। আজকের যুগে যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেটের জগৎটা এত বড় আর বিশাল যে সেখানকার কোথা থেকে কতটুকু নিয়েছ সে হিসাব রাখাও বাতুলতা। বইয়ের ক্ষেত্রে অকাতরে সাহায্য নিয়েছি ‘দ্য গ্রেট আর্টিস্ট’ সিরিজের। লন্ডনের মাসার্ল ক্যাভেনডিস থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ৯৯জন শিল্পীকে নিয়ে এই সিরিজের ৯৯টি বই প্রকাশিত হয়েছিল। সিরিজের প্রথম বইটিই ভ্যান গগ—কে নিয়ে। মূলত এই সিরিজের বইগুলোই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি স্বপ্ন দেখছি, একদিন আমিও বিশ্বের সেরা শিল্পীদের নিয়ে এই রকম একটা সিরিজ লিখে যাব। পাঠক, দয়া করুন, দোয়া করুন, প্রকাশকরা যেন আমার কাঁচা স্বপ্নের গেঁাড়ায় সার—জল দেন।
যেহেতু মানুষের লেখা বই সেহেতু এতে ভুল—ত্র“টি থাকবেই। তার জন্যে অহেতুক ক্ষমা চেয়ে লাভ নেই, বরং অনুরোধ থাকবে, গালি—গালাজ এবং পরামর্শ যথা ঠিকানায় পেঁৗছে দিন। ইনশালা, এটিই এই বইয়ের শেষ সংস্করণ নয়, আগামী সংস্করণে ভুল—ভ্রান্তি সংশোধনের প্রতিজ্ঞা রইল।
সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেন না। আমার জীবনের বড় দুটি দুঃখের একটি হলো, আমি ছবি আঁকতে পারি না। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো ছবি আঁকতে না—পারার সাধ আমি মিটিয়েছি চিত্রকলা নিয়ে পড়ালেখা করে। খুব অল্প বয়সেই আমি ভ্যান গগের প্রেমে পড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে, একদিন ভ্যান গগের উপর একটা বই নীলক্ষেতে পেয়ে যাই। তখন কলেজে পড়ি, তার চেয়ে বেশি পড়ি নীলক্ষেতে।
By মুম রহমান
Category: চিত্রকলা
সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেন না। আমার জীবনের বড় দুটি দুঃখের একটি হলো, আমি ছবি আঁকতে পারি না। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো ছবি আঁকতে না—পারার সাধ আমি মিটিয়েছি চিত্রকলা নিয়ে পড়ালেখা করে। খুব অল্প বয়সেই আমি ভ্যান গগের প্রেমে পড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে, একদিন ভ্যান গগের উপর একটা বই নীলক্ষেতে পেয়ে যাই। তখন কলেজে পড়ি, তার চেয়ে বেশি পড়ি নীলক্ষেতে। বইটা হাতে নিয়ে রিকশায় ফিরছি আর চরম উত্তেজনায় বারবার পাতা উল্টাচ্ছি। পড়তে পারছি না, কারণ তখন রাত, কিন্তু ছবিগুলো দেখছি। আর অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, চলতি রিকশার সাথে আলো বদলায়, আর আলোর সাথে একেকটা ছবির রং রূপ বদলে যায়। হায়, ঈশ্বর আজ পর্যন্ত ভ্যান গগের আঁকা একটি মূল ছবিও সরাসরি দেখার সুযোগ পাইনি, কিন্তু প্রিন্টেই যা দেখেছি তার মুগ্ধতা থেকেই তো আজও বেরুতে পারি না। যাহোক, সেই আলো—অঁাধারিতে দেখা বই পরদিন সকালেই পড়তে বসি। কলেজ থাকে কলেজের জায়গায়, আর আমি আর ভ্যান গগ থাকি বোটানিক্যাল গার্ডেনে বসে। সেই যে বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ভ্যান গগের সঙ্গে প্রেম শুরু আমি জানি আমৃত্যু তা রয়ে যাবে।
তবু কিছু ঋণ তো রয়েই যায়। আজকের যুগে যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেটের জগৎটা এত বড় আর বিশাল যে সেখানকার কোথা থেকে কতটুকু নিয়েছ সে হিসাব রাখাও বাতুলতা। বইয়ের ক্ষেত্রে অকাতরে সাহায্য নিয়েছি ‘দ্য গ্রেট আর্টিস্ট’ সিরিজের। লন্ডনের মাসার্ল ক্যাভেনডিস থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ৯৯জন শিল্পীকে নিয়ে এই সিরিজের ৯৯টি বই প্রকাশিত হয়েছিল। সিরিজের প্রথম বইটিই ভ্যান গগ—কে নিয়ে। মূলত এই সিরিজের বইগুলোই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি স্বপ্ন দেখছি, একদিন আমিও বিশ্বের সেরা শিল্পীদের নিয়ে এই রকম একটা সিরিজ লিখে যাব। পাঠক, দয়া করুন, দোয়া করুন, প্রকাশকরা যেন আমার কাঁচা স্বপ্নের গেঁাড়ায় সার—জল দেন।
যেহেতু মানুষের লেখা বই সেহেতু এতে ভুল—ত্র“টি থাকবেই। তার জন্যে অহেতুক ক্ষমা চেয়ে লাভ নেই, বরং অনুরোধ থাকবে, গালি—গালাজ এবং পরামর্শ যথা ঠিকানায় পেঁৗছে দিন। ইনশালা, এটিই এই বইয়ের শেষ সংস্করণ নয়, আগামী সংস্করণে ভুল—ভ্রান্তি সংশোধনের প্রতিজ্ঞা রইল।